Home

শিক্ষার্থী কম্পিউটার দক্ষতা ১ - পাঠের উদ্দেশ্য

Adapted by UBR - Comprehensive Sexuality Education - Master Trainer Team

উদাহরণ

এই পাঠের জন্য উদাহরণ

  • শিশু শ্রম বন্ধ করুন
  • আপনারা আমাদের উপর বোঝা চাপাচ্ছেন
  • এটা আমাদের অধিকার {আর্ট ওয়ার্ক}
  • শিক্ষা যুবদের এবং আমাদের দেশের সকলের জন্য মঙ্গলজনক।
  • আমাদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করুন।
  • বিশ্ব জুড়ে আমরা দেখতে পাই , যে দেশে শিক্ষিতের হার যত বেশী তারা তত ভাল করছে।
  • আমরা বাংলাদেশকে একটি সুন্দর দেশ হিসাবে গড়তে চাই, এর জন্য আমাদের ছেলে মেয়ে উভয়কেই শিক্ষিত হতে হবে। আমাদের সাহায্য করুন!

১. শিক্ষকের জন্য হ্যান্ডআউট:

যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বাংলাদেশের আইনসমূহ

প্রজনন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বাংলাদেশের আইনসমূহ:

জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৯৪ সালে কায়রোতে ১৭৮ দেশের প্রতিনিধি সমন্বয়ে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় যা। এই সম্মেলনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পরিবার পরিকল্পনা, নারীর প্রজনন অধিকার ও কৈশোরে প্রজননস্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ নানা বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। এই সম্মেলনেই প্রথম কৈশোরে প্রজননস্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারটি প্রাধান্য পায় এবং বলা হয় বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোররা প্রজননসংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য পায় না অথচ কৈশোরই জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনার সময় । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের সংজ্ঞানুযায়ী, ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী সকলেই কিশোর। একই সংস্থার ২০১২ সালের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১.২ বিলিয়ন বা ১৮% কিশোর যাদের ৯০ শতাংশের বসবাস উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। আর বাংলাদেশে কিশোর জনসংখ্যা (১০-১৯ বছর) মোট জনসংখ্যার প্রায় ২১% যা এশিয়ায় সর্বোচ্চ।

বয়ঃসন্ধিকালে আকস্মিক শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন কিশোর-কিশোরীদের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। এ সময় কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক সমস্যা ও প্রজনন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নানা তথ্যের প্রয়োজন হয়। যৌন ও প্রজনন সংক্রান্ত যে কোনো আলোচনাই আমাদের রক্ষণশীল সমাজের সর্বস্তরে নিরুৎসাহিত হয়ে থাকে। আমাদের সংস্কৃতিতে প্রজনন ইস্যু অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। বাংলাদেশ প্রজনন স্বাস্থ্য জরিপে দেখা যায়, এদেশে শতকরা ৬৮ ভাগ মেয়েদের ১৮ বছরেরও কম বয়সে বিয়ে হয়ে যায় এবং তাদের শতকরা ২৩ ভাগ ২০ বছর বয়সের কাছাকাছি সময় গর্ভধারণ করে। অবহেলা, অজ্ঞতা ও লজ্জার কারণে বেশিরভাগ মানুষ প্রজননস্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে চিকিতসকের কাছে যায় না। কিন্তু বর্তমানে উন্নত দেশগুলোতে যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নানা ধরণের সচেতনতামূলক পলিসি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে যখন ততপর তখন আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রজননস্বাস্থ্য বিষয়টিকে অবহেলা করা উচিত নয়। কৈশোরে ছেলেমেয়ে উভয়ই নানাভাবে প্রজননস্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংকট এবং শঙ্কার সম্মুখীন হয়। মূলত এ বয়সেই যৌনাচরণ এবং প্রজনন দায়িত্ব সম্পর্কে তাদের ধারণা গড়ে ওঠে। তাই বলা যায়- শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই তরুণদের এ সময়টি সুস্থ্য ভবিষ্যতের গুরুত্ব বহন করে। পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব কখনো কখনো প্রজননস্বাস্থ্য হানি ও নানা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, প্রজনন সংক্রান্ত তথ্যের উতস নারী ও পুরুষের মধ্যে রয়েছে পার্থক্য পাথর্ক্যের ধরন কিছুটা বৈজ্ঞানিক- অতিবৈজ্ঞানিক-অবৈজ্ঞানিক কখনো বা কাল্পনিক। বয়ঃসন্ধিকালে অধিকাংশ ছেলের তথ্যের উতস ছিল- উপন্যাস, চলচ্চিত্র, ইন্টারনেট, বন্ধুবান্ধব, সেক্স গাইড, জীববিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক ইত্যাদি। অন্যদিকে মেয়েদের ক্ষেত্রে উৎসগুলো কিছুটা ভিন্নতর; যেমন- সমবয়সী বোন, বান্ধবী, মা ও বয়স্ক আত্মীয়, টেলিভিশন, বই, সংবাদপত্র ইত্যাদি। তথ্যের উৎস ভিন্নতার ভিত্তিতে ভবিষ্যত প্রজনন দায়িত্ববোধ গঠনে নারী ও পুরুষের ধারণা স্বাভাবিক ভাবেই ভিন্ন হয়ে যায়।

বাংলাদেশের জনসংখ্যানীতি, স্বাস্থ্যনীতি এবং শিশুনীতিতেও প্রজননস্বাস্থ্য শিক্ষার গুরুত্ব ও কৈশোরে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের বিষয়টিতে আলোকপাত করা হয়েছে। কিশোর-কিশোরীর কল্যাণ ও সেবাদান অনুচ্ছেদে যৌন ও প্রজনন সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারণা ও যৌনসংক্রান্ত নানা রোগ সম্পর্কে জ্ঞান ও সেবা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। কৈশোরে প্রজননস্বাস্থ্য শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রজননস্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি ছেলেমেয়ে সবার জানা দরকার। এজন্য বিষয়টি স্কুল-কলেজের মূল পাঠ্যক্রমে আনা হয়েছে। জনগণকে আরো সচেতন করতে গণমাধ্যম, সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে প্রজননস্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা দরকার। যেহেতু এ বয়সে পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছেলেমেয়েদের বেশিরভাগ সময় কাটে তাই বাবা-মাএবং শিক্ষকদের বিশেষ সচেতন হতে হবে যেন কৈশোরে প্রজননস্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়গুলো ‘লজ্জা’, ‘গোপনীয়’ বা ‘খারাপ’ হিসেবে দেখা না হয়। কিশোরদের বোঝাতে হবে প্রজনন জীবনের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া এবং এ সংক্রান্ত তথ্যপ্রাপ্তি প্রত্যেকের অধিকার ও দায়িত্ব যা যথাযথ শিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে সুরক্ষা সম্ভব। সুতরাং মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই যৌন ও প্রজনন শিক্ষার প্রসার করা উচিত। এটি একজন ব্যক্তিকে প্রজননস্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা দেবে বরং তার শারীরিক সুস্থ্যতা, পরিচ্ছন্নতা, পরিবার পরিকল্পনা এবং যে কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রয়োজন।

বাংলাদেশে প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু আইন রয়েছে। যেমন-
  • মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯৬১ (সংশোধিত: ১৯৮২) সংবিধিবদ্ধ বিধিমালা অমান্য করে বহু বিবাহ অথবা বিবাহ বিচ্ছেদে শাস্তির বিধান আছে।
  • যৌতুক বিরোধী আইন, ১৯৮০ যৌতুক দেওয়া ও নেওয়া দন্ডনীয় অপরাধ।
  • নারী নির্যাতন অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ মৃত্যুদন্ড অথবা ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের বিধান রয়েছে।
  • পারিবারিক আদালত অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫ মহিলাদের বিশেষ দরিদ্র মহিলাদের উপকারার্থে বিবাহ, তালাক, ভরণ পোষণ, শিশুর অভিভাবকত্ব প্রভৃতি বিষয় যথাসম্ভব কম খরচে এবং দ্রুত ফয়সালা করার বিধান রয়েছে।
  • বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ আইন (সংশোধিত অর্ডিন্যান্স) মেয়েদের বিয়ের ১৬-১৮ এবং ছেলেদের ১৮ থেকে ২১ এর কম বয়সে অথবা শিশুকে বিয়ে করলে শাস্তির বিধান রয়েছে।
  • এসিড নিক্ষেপ আইন, ২০০২ খোলা বাজারে এসিড বিক্রির উপর নিষেদাজ্ঞা আরোপ ও এসিড নিক্ষেপকারীদের মৃত্যুদন্ড প্রদান করার বিধান রাখা হয়েছে।
  • পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০০৯ (খসড়া) সুরক্ষা আদেশ লংঘিত হলে লংঘনকারী অনূর্ধ ৬ মাস থেকে যেকোন ধরনের কারাদন্ড বা অনূর্ধ ১০ হাজার টাকা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে বলে উলেক্ষ্য রয়েছে।
  • নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০: পরিবার বা সমাজ যেখানেই ঘটুক, সহিংস তৎপরতা বা হুমকি নারীর জীবনে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার জম্ম দেয় এবং সমতা অর্জন, উন্নয়ন ও শান্তির পথে বাধার সৃষ্টি করে। নির্যাতনের ভয় নারীর গতিশীলতার পথে একটি স্থায়ী বাধা এবং তা সম্পদ ও মৌলিক কর্মকান্ডে তাদের প্রাপ্য অংশ লাভের সুযোগ সীমিত করে দেয়। ব্যক্তি ও সমাজকে যে বাড়তি, সামাজিক, স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক ঝুকি নিতে হয় তা নারী নির্যাতনের সাথে জড়িত। নারী নির্যাতন একটি নির্মম সামাজিক প্রকিয়া যার দ্বারা মেয়ে সন্তান ও নারীর প্রতি অবহেলা, তাদের উপর শারীরিক ও যৌন নিপীড়ন, ধর্ষন, সেই সঙ্গে স্বামী স্ত্রী এবং স্বামী স্ত্রী বহিভূতি যৌন নিপীড়ন এ সব ঘটনা প্রায়ই প্রচারিত হয় না। ফলে তা শনাক্ত করা কঠিন। এমনকি এসব নির্যাতনের ঘটনা যদি প্রচারিত হয় তাহলে ও প্রায়ই ঘটনার শিকার তাদের নিরাপত্তার বিধান বা ঘটনার হোতাদের শাস্তির বিধানে ব্যর্থতা দেখা যায়। বাংলাদেশে প্রচলিত নারী সংক্রান্ত আইনসমূহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এ বর্ণিত দন্ডবিধিসমূহ।

বাংলাদেশের সংবিধান নারীদের তথা নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছে। সংবিধানের সংশিষ্ট্র ধারাগুলো, যেমন অনুচ্ছেদ ২৭, ২৮, (১), ৩১, ৩২, ৩৪ইত্যাদি নাগরিকদের সমঅধিকার, বৈষম্য প্রতিরোধ, জীবন স্বাধীনতা, দেহ ও সম্পত্তি রক্ষার অধিকার, ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার, জবড়দস্তিমূলক শ্রম থেকে নিরাপত্তার অধিকার বেশ জোরালোভাবে ঘোষণা করেছে। সংবিধানের অঙ্গীকার সমুন্নত রেখে বিভিন্ন সময় নারীনির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন ও প্রচলিত আইন সংশোধন করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে পেনাল কোড, ১৮৬০; যৌতুক নিরোধ আইন, ১৯৮০; নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯৫ এবং নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ ইত্যাদি আইনে নারীনির্যাতনের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা রয়েছে।

২. এলজিবিটি কমিউনিটির মানুষের কি সকল ধরনের অধিকার ও সেবা পাওয়া উচিত? শিক্ষকের জন্য পরামর্শ

শিক্ষার্থীদের সাথে নিন্মলিখিত বিষয়গুরো নিয়ে আলোচনা করুন:

১. দুই ভাই ও এক বোনের পরিবারে ছোট ভাইটি মেয়েলী স্বভাবের। পরিবারের সবাই যখন একত্রে খেতে বসে তখন মাছের মাথাটি আদর করে বড় ভাইটিকে দিতেন --- ভাবলে কেমন লাগে?

২. শুধুমাত্র ছেলে হওয়ার কারনে উপযুক্ত সময়ে স্কুলে যেতে পারলো ভাইটি কিন্তু মেয়ে হওয়ার কারনে তাকে গৃহস্থলী কাজে নিয়োজিত থাকতে হলো। অন্যদিকে মেয়েলী স্বভাবের ভাইটির প্রতিও অবহেলা শুরু হলো- কেমন লাগে ভাবতে?

৩. স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর মেয়েলি স্বভাবের ছেলেটি অন্যদের টিপ্পনির কারনে একসময় স্কুল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় কিন্তু অন্য ভাইটি পড়াশুনা চালিয়ে যায় -- ভাবলে কেমন লাগে?

৪. পরিবারের ভাইবোনদের সবার মতামতের মূল্যায়ন হলেও মেয়েলি স্বভাবের ভাইটির কথার মূল্য সে ভাবে দেওয়া হয় না -- ভাবলে কেমন লাগে?

তাদের উত্তরগুলো থেকেই আলোচনা শুরু করুন। সেই সাথে পরিণতি অর্থাৎ বৈষম্যের ফলে সৃষ্ট অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করুন। নারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, পাশাপাশি মেয়েলী স্বভাবের পুরুষটিও অপবাদ আর বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

অপবাদ ও বৈষম্য এর প্রভাবঃ

  • বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মদক্ষতা কমে যায়,
  • চাকুরী চলে যায় বা ব্যক্তি নিজেই চাকুরী ছেড়ে দেন,
  • ব্যক্তিগত জীবন সবার সামনে উন্মোচিত হওয়ায় অপমান ও ব্যক্তিগত আক্রমনের সুযোগ তৈরী হয়,
  • মুখরোচক গল্পের ইস্যু তৈরী হয়,
  • কর্ম
  • র্মক্ষেত্রে বিশ্বস্ততা হারায়,
  • বিষন্নতা দেখা দেয়,
  • আত্বীয়, বন্ধু, পরিবার সবার কাছে থেকে সহযোগিতা পাওয়ার প্রবণতা কমে যায়,
  • স্থানাšতরিত হওয়ার প্রবনতা বেড়ে যায় (চাকুরী ও অন্যান্য ক্ষেত্রে),
  • আত্ম বিশ্বাস কমে যায়,
  • জীবনে ঝুঁকিপুর্ণ কাজের প্রতি উৎসাহী হয়,
  • ভাল মন্দ বিবেচনা বোধ হ্রাস পায়,
  • আত্মহত্যার প্রবনতা বেড়ে যায়,
  • মাদকাসক্ত হওয়ার প্রবনাতা বেড়ে যায়।

একটি উদাহরন:

রাহুল কাজ করে একটি বেসরকারী সংস্থায় । সবার সাথে তার খুব ভাল সম্পর্ক। কিন্তু কিছুদিন পর সবাই জেনে যায় যে রাহুল একজন ’হিজড়া’। তারপর থেকে সবাই তাকে এড়িয়ে চলে। এ ব্যাপারে রাহুলের সুপারভাইজারও একদিন চরম অপমান করে এবং নানা বাজে কথা বলে। পরবর্তীতে তার সাথে অন্যরা খাওয়া দাওয়া কথা বার্তা বলা বন্ধ করে দেয়।

পরবর্তীতে একদিন নির্বাহী পরিচালক হঠাৎ জরুরী ভিত্তিতে মিটিং ডাকে। সেই মিটিং এ তিনি ঘোষনা করেন অফিসের একজন যোগ্য, সৎ, কর্মঠ ব্যক্তিকে ৩ মাসের ট্রেইনিং এ বিদেশে পাঠাবেন। কে সেই ব্যক্তি হতে পাওে তা নিয়ে সবাইকে চিন্তা ভাবনা করার জন্য বললেন। প্রত্যেকেই যোগ্যতার বিবেচনায় রাহুলের নাম বিবেচনায় আনলো কিন্তু তার আচরনের কারনে তাকে ট্রেইনিং এ পাঠানো হলো না। রাহুল এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করে কিন্তু কোন লাভ হয় না। এতে সে ভীষণ কষ্ট পায় এবং রাগে দুঃখে চাকুরী থেকে ইস্তফা দেয়।

সকল শিক্ষার্থীকে এটা বুঝিয়ে দিতে হবে যে, নারী, পুরুষ বা LGBT যাই হোক না কেন প্রত্যেকেরই মানুষ হিসেবে সমান অধিকার প্রাপ্য। জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণা বা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক অধিকার সবার জন্যে সমানভাবে প্রযোজ্য। এবং কোনধরনের অপবাদ বা বৈষম্যের শিকার কেউ হবে না।

ওয়েবসাইটস

www.popcouncil.org/research/balika-bangladeshi-association-for-life-skills-income-and-knowledge-for-ado

এই সাইটে এই সাইটে বাংলাদেশের কিশোরীদের প্রাজনন স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং অধিকারের বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে।

www.maya.com.bd ওয়েবসাইটি নারী বিষয়ক অ্যাপ তৈরী করেছে। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলে। স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্যসহ এই অ্যাপে নারীদের বিভিন্ন সামাজিক ও আইনি পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে যে কেউ নারী নিজের নাম-পরিচয় গোপন রেখেই প্রশ্ন করতে পারবেন। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বিশেষজ্ঞদের দেওয়া পরামর্শ পাওয়া যাবে। অ্যাপটি নামানোর ঠিকানা:

http://goo.gl/ZpGCdOwww.avert.org/postershist.htm এই সাইটে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গার থেকে এইচআইভি এবং এইডস এর উপর পোস্টার দেখানো হয়েছে। দেখুন ! অনুপ্রেনিত হোন !

www.unicef.org/crcartoons

যদি আপনার ’রিয়েল প্লেয়ার’ বা ’ উইনডোস মিডিয়া প্লেয়ার’ থাকে তবে আপনি যুবদের অধিকারের উপর আ্যনিমেশন বা ছোট ছবি দেখতে পারবেন।

EKN
Top