সুস্থ, সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার জন্য তোমার কিছু সাধারণ বিষয় জানা প্রয়োজন, যেগুলো তোমার শরীরকে ভালো রাখতে সহায়তা করবে।
উদাহরণস্বরূপ,
বয়ঃসন্ধিকালে তোমার অনেক বেশি ঘাম হতে পারে এবং শরীরের বিভিন্ন
স্থানে লোম গজাবে।
এই ঘামের ফলে শরীরে দুর্গন্ধ হতে পারে এবং প্রজনন অঙ্গের আশপাশে
ঘামের কারণে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে।
প্রতিদিন সাবান মেখে গোসল করলে এই সমস্যা থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়।
এখানে ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্যই কিছু পরামর্শ রয়েছে।
সবসময় খাবারের আগে ও পরে, খাবার তৈরি করার আগে এবং টয়লেট ব্যবহার করার পর প্রতিবার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেওয়া প্রয়োজন। সবসময় নখ কেটে ছোট ও পরিষ্কার রাখা জরুরি।
প্রতিদিন সাবান ও পানি দিয়ে গোসল করা এবং বগল ও শরীরের প্রজনন অঙ্গ ভাল করে পরিষ্কার করা প্রয়োজন। অন্যের গামছা ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এর মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনের কাছে জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এখানে মেয়েদের জন্য কিছু বিশেষ পরামর্শ দেওয়া হলো।
সাধারণত ১০ থেকে ১২ বছর বয়সে প্রতিমাসে মেয়েদের যোনিপথ দিয়ে এক ধরনের রক্ত বের হয়। এটিই মাসিক বা ঋতুস্রাব। প্রায় প্রত্যেক কিশোরীরই ২৮ দিন পরপর মাসিক হয় এবং ৫ থেকে ৭ দিন থাকে।
মাসিকের রক্ত এমনিতেই পরিষ্কার। কিন্তু যখন এটা শরীর থেকে বের হয়ে আসে তখন রক্তে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে এবং দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। এ কারণে,খেয়াল রাখা দরকার তোমার কোন সময়টাতে মাসিক হচ্ছে। এতে করে তোমাকে অপ্রস্তুত হতে হবে না যদি তোমার সাথে পরিষ্কার কাপড়, প্যাড বা স্যানিটারী ন্যাপকিন সাথে থাকে।
এ সবগুলোই বেশ ভাল পদ্ধতি। কিন্তু এইগুলো ব্যবহারের নিয়ম হচ্ছে নিয়মিত পাল্টে নেওয়া। প্যাড বা স্যানিটারী ন্যাপকিন নির্দিষ্ট সময় পর ফেলে দেওয়া প্রয়োজন কিন্তু কাপড় ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে আবার ব্যবহার করা যেতে পারে। কাপড় পরিষ্কার করার আগে ও পরে হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
এখানে ছেলেদের জন্য কিছু বিশেষ পরামর্শ দেওয়া হলো:
প্রতিবার প্রস্রাব এবং পায়খানার পর লিঙ্গ এবং মলদ্বার পরিষ্কার পানি দিয়ে পরিষ্কার করা ভালো।
যেসব ছেলেদের খৎনা হয়নি, পুরুষাঙ্গের সামনের দিকের চামড়া উল্টে পরিষ্কার করে নিবে, কারণ ওখানে আঠালো ঘন পদার্থ জমে গন্ধ হয়, যা পরিষ্কার করা জরুরি।
তোমরা স্বাস্থ্য পরিচ্ছন্নতা
বজায় রাখ কীভাবে?
তুমি কী সত্যিকার অর্থে
সুস্থ ও সজীব?
তোমার স্বাস্থ্য পরিচর্যায়
তুমি কী করতে পার?
এসো কারণগুলি দেখি
ভালো খাবার
তরুণদের সুস্বাস্থ্য এবং ভালো
থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
চল, চিহ্নিত করি কোনগুলো ভালো খাবার?
অনেক কিশোর কিশোরী মনে করে তারা ভালো খাবার
গ্রহণ করছে, আসলে কিন্তু নয়।
সঠিকভাবে খাও!
১. শক্তিপ্রদানকারী খাদ্য: ভাত,গম.ভুট্টা,ডাল,আলু, মুলা, গাজর,
ওলকচু ইত্যাদি প্রধান খাদ্যশস্য।
২. ভিটামিন ও খনিজ : এটি পাওয়া যায় প্রধানত শাক-সব্জি এবং ফলমূল
এ।
৩. আমিষ : সীম, মটর, চনা, গরুর মাংস, মুরগীর মাংস, মাছ, ডিম
এবং দুধ।
তোমার খাওয়া উচিত পরিমাণ মতো প্রধান খাবার, প্রচুর পরিমাণে
শাক-সব্জি, ফলমূল এবং কিছু প্রোটিন জাতীয় খাবার।
পরিশেষে, সবচেয়ে ভালো হয় অল্প পরিমাণে চর্বি, তেল এবং
মিষ্টিজাতীয় খাবার গ্রহণ করা।
চল শরীরকে সুস্থ রাখি...
ব্যায়াম হচ্ছে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। তোমরা কর্মব্যস্ত থাকলে শরীর সুস্থ
ও সবল থাকবে।
অবশ্যই পর্যাপ্ত ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
খেলাধুলা আত্মবিশ্বাস ও দলীয় শক্তি উন্নয়নে সহায়তা করে। ঘরের কাজকর্ম করা পারিবারিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা করে।
ব্যায়ামের সাথে সাথে পর্যাপ্ত বিশ্রামেরও প্রয়োজন।
প্রতিরাতে অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুমানো ভালো।
তোমার খাদ্যভ্যাস কি সঠিক?
তুমি পর্যাপ্ত ব্যায়াম করছো তো?
তোমার পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে কি?
সুস্থ, সবল আর সুন্দর থাকো!
সমাপ্ত